সর্বশেষ

Wednesday, July 16, 2025

অদৃশ্য ছায়ায় চলছে  মানিক খোনারের অপ চিকিৎসা

অদৃশ্য ছায়ায় চলছে মানিক খোনারের অপ চিকিৎসা

 


প্রতিনিধি সালাউদ্দিন সোহান নোয়াখালী থেকেঃ

নোয়াখালী সোনাইমুড়ী উপজেলার নদনা ইউনিয়নের হাঁটগাও গ্রামের আব্দুল মালেক প্রকাশ( মানিক  খোনার)পরিচয় চলছে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে  চিকিৎসার নামে  অপ চিকিৎসা। যেখানে এক অদৃশ্য ছায়ায় চলছে মানিক সোনার এর অপ চিকিৎসা। একসময়ের সৌদি প্রবাসী,মোঃ আব্দুল মালেক মানিক প্রবাস জীবন ছেড়ে ২০১৬সাল হতে (মানিক খোনার)পরিচয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলার নদনা ইউনিয়নের হাঁট গাঁও গ্রামে চিকিৎসক না হয়েও শুরু করেন হাতুড়ে চিকিৎসা ও খোনারী ব্যবসা। ২ নং ওয়ার্ড হাটগাও গ্রামের আব্দুল গফুর পাটোয়ারী বাড়ির প্রবেশ মুখে,মৃত মোজাফফর মিয়ার ছেলে, মানিক খোনার বিগত ৯ বছর হতে ক্যান্সার ডায়াবেটিক পলিপাস, সংসারে অমিল, বিয়ে না হওয়া, আপস, সহ বিভিন্ন ধরনের জটিল ও কঠিন রোগে সারিয়ে দেয়ার আশ্বাসে প্রতারণার মাধ্যমে সোনাইমুড়ী উপজেলা, নোয়াখালী জেলা, তথা দূরদূরান্তের বিভিন্ন জেলার সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন বিপুল অঙ্কের টাকা। 

সরেজমিনে দেখা যায় প্রতিদিন ভোর হতে মাগরিবের নামাজের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত ৪০০ হতে ৫০০ রোগীর চিকিৎসা  দিয়ে যাচ্ছেন। পলিপাস রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছেন নাকের ভেতরে আম পাতা গোল করে পলিপাসের মাংস পিণ্ডকে আঘাতের মাধ্যমে ক্ষত-বিক্ষত করে রক্ত ক্ষরণের মাধ্যমে। এলাকার লোকজনের মাধ্যমে জানা যায়  অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে প্রায়ই মাথা চক্কর দিয়ে বেহুশ হয়েছেন অনেকেই।এদের মধ্যে অনেকেই পরবর্তীতে অন্যত্র  নিয়েছেন তার অপ চিকিৎসার, চিকিৎসা সেবা।যেখানে মানিকখোনারের এ কার্যক্রমটি চলমান সেটি একটি ছোটখাট স্কুল ভবনের মত। রোগিরা বসার জন্য রয়েছে (১০০)এর অধিক বসার  বেঞ্চ। রোগিদেরকে সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপ ভয়েস এর মাধ্যমে দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন কার কি লাগবে। রয়েছে তার পরিচালিত বিভিন্ন উপকরণ বিক্রির একটি দোকান। যেখান থেকে হোয়াটসঅ্যাপে উল্লেখিত সামগ্রী রোগীরা টাকা দিয়ে কিনে নেন। এ দোকানটি পরিচালিত হচ্ছে তারই লোকের মাধ্যমে।আগত রোগীরা ২০০ হতে ৫০০ টাকায় কিনে নিচ্ছেন এ উপকরণগুলো। রোগী দেখার সময় নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা।যে সমস্ত রোগির বড় ধরনের সমস্যা তাদেরকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন তার জেলা সদর মাইজদীর বাষায়। স্থানীয় জন সাধারণের মাধ্যমে জানাযায় এই অপচিকিৎসা পদ্ধতিকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে গড়ে তুলেছেন এলাকায় একটি মাদ্রাসা। বিভিন্ন মহলে প্রচার করেন আমি এই ইনকাম দিয়ে ইসলামের খেদমত করি, অথচ ওই মাদ্রাসা সংলগ্ন রয়েছে আগে থেকেই আরেকটি মাদ্রাসা। তিনি ওই মাদ্রাসাটিকে নিজের অর্থায়নে পরিচালনার কথা বললে এলাকাবাসী তাতে রাজি হননি, গড়ে তুলেন নিজের ধান্দাবাজি ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আরেকটি প্রতিষ্ঠান,যার সকল খরছ তিনি নিজেই বহন করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, মানিক্ খোনারের বাড়ির আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে জানা যায়, নুন আনতে ফান্তা পুরানো মানিক আগে বসবাস করত নিজের গ্রামের  বাড়িতে। খোনারী ব্যবসা শুরু করার পর হতে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। পরিবার নিয়ে বসবাস করেন মাইজদী জেলা সদরে।এলাকায় নামে বেনামে রয়েছে তার ৬ একরের অধিক সম্পত্তি। নোয়াখালী জেলা সদরে  নিয়েছেন ফ্ল্যাট।

তার এই ধান্দাবাজী ব্যবসা কে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এলাকায় গড়ে তুলেছেন নিজস্ব একটি বাহিনী। কখনো কেউ তার এই কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কথা বললে এদের দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেন। এলাকাবাসী অতীতে বিভিন্ন সময় তার এহেন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হন। এর আগে মানিক খোনারের  দুর্নীতির বিষয়ে জাতীয় পত্রিকা দৈনিক মানবজমিন,যায়যায়দিন, দৈনিক জাতীয় নিশান, দৈনিক নোয়াখালীর সময় পত্রিকাসহ একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের  পর, সাবেক সোনাইমুড়ি উপজেলা ইউএনও টিনা পাল মানিক খোনারের আস্তানায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে,নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও মুসলেকা আদায় করেন,সাবেক নির্বাহী অফিসার  রহিমা বেগম তার আখড়ায় গিয়ে তার এই অপ চিকিৎসা ও কবিরাজি খোনকারী বন্ধ করার বিষয়ে সাবধান করেন এবং বলেন ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রম চালু রাখলে তাকে আইনের আশ্রয়ে নেওয়া হবে। কিছুদিন বন্ধ রাখার পর,তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতাদের সহযোগিতায় আবার কার্যক্রম শুরু করেন।এরপরে সোনাইমুড়ি ইউএন রবিউল ফয়সাল আবার তাকে সতর্ক করে আসেন। তাতেও তিনি কর্ণপাত না করে তার অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে গিয়েছেন। গত (৩) জানুয়ারি ২০১৭ সাবেক ইউ এন ও রবিউল তাকে গ্রেফতার করান। গাড়িতে উঠানোর পর তার অনুগত বাহিনী ইউএনও সাহেবের গাড়ি ভাঙচুর করে এবং মানিক খোনার কে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।বোমা ফাটিয়ে তাণ্ডব সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে ইউএনও মহোদয় তাকে না পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে তার এহেন কাজের সহযোগী মেয়ে মিম ও মিলন নামক (২) দুজনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ইউএনও মহোদয়ের ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।মিলন কে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রধান করেন। তার অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন।উক্ত বিষয়ে তার নিজ বাড়ির  লোক তার এবং তার  পালিত বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে নোয়াখালী কোর্টে ৫ এই জানুয়ারি 2017, ১১/১৭ মামলা দায়ের করেন। তার এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকিতে ২০ এই ফেব্রুয়ারি ২০১৭ মোঃ গোলাম ফারুক বাদী হয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। রিটপিটিশন নং ২৩৫৪। গত (২০)  এপ্রিল ২০১৭ মোঃ আবু সাঈদ বাদি হয়ে মানিক খোনার এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত হতে প্রতিকারের জন্য সোনাইমুড়ী থানায়  একটি জিডি করেন, জিডি নং ৯২৫।মহামান্য হাইকোর্ট সর্বশেষ এক আদেশে মোঃ আব্দুল মালেক ওরফে মানিক খোনারের অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা প্রদান করেন। তৎকালীন সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনায় মানিকখোনারের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন। যাহা তৎকালীন সোনাইমুড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ১৮ এই সেপ্টেম্বর 2017 মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের জবাব প্রেরণ করেন।

মানিক খোনারের চিকিৎসা পদ্ধতি ও খোনারী সম্পর্কে জানতে চাইলে সরেজমিন বার্তা প্রতিবেদককে জানান আমি কুমিল্লা থেকে চিকিৎসা বিষয়ে ট্রেনিং এবং লাইসেন্স নিয়েছি।নাকের পলিপাস এর চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এটা আমার কুমিল্লার ইনস্টিটিউট থেকে শেখা চিকিৎসা পদ্ধতি।  উনার নিকট পূর্বের হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান তখন আমার লাইসেন্স ছিল না, এজন্য হাইকোর্ট আমাকে আমার  কার্যক্রম নিষিদ্ধের নির্দেশনা দেয়। বর্তমানে আমার লাইসেন্স রয়েছে, যা বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত। এ প্রতিবেদককে তিনি মামলার ও হুমকি দেন।


মানিক খোনারের  বিষয়ে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাকসুদ আলমের নেতৃত্বে কয়েকজন সাংবাদিক  ইউএনও নার্গিস আক্তারের নিকট মানিক খোনারের অবৈধ কার্যক্রমের বিষয়ে  অবগত করানোর পর,মতামত জানতে চাইলে সাংবাদিকদের  ইউএনও    বলেন মানিক খোনারের দ্বারা কার কি ক্ষতি হচ্ছে বলে উল্টো সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছুড়ে দেন ।


Monday, July 14, 2025

মানিকগঞ্জে প্রভাবশালী বালু সিন্ডিকেটের তাণ্ডব, মুখ খুললেই হুমকি-সন্ত্রাস

মানিকগঞ্জে প্রভাবশালী বালু সিন্ডিকেটের তাণ্ডব, মুখ খুললেই হুমকি-সন্ত্রাস


প্রতিবেদনে বেলাল চৌধুরী:

মানিকগঞ্জের ঘিওর ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় বালু মহলের নামে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হলেও, নির্দিষ্ট ইজারা এলাকার বাইরে গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে এক প্রভাবশালী চক্র। এতে নদীর দুই পাড়ের চর ও গ্রামবাসীরা মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়েছে। নদীভাঙ্গন, বসতভিটা হারানোর ভয় আর সন্ত্রাসীদের আতঙ্কে এলাকাবাসী আজ অসহায়।

তথ্য অনুযায়ী, ঘিওর উপজেলার তরা বালু মহল ৭ কোটি ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকায় এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চামটা-পৌলী-বিল বরিয়াল বালু মহল ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ইজারা পান মেসার্স রিজু এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. কামাল হোসেন। অথচ ইজারা নেওয়া নির্দিষ্ট স্থান বাদ দিয়ে বানিয়াজুড়ি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের লোকিববাড়ি এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ আছে, মো. কামাল হোসেন, মানিকগঞ্জ পৌর বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, এবং তার সহযোগী মাছুদ পারভেজ, জেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক জেলা ছাত্রদলের সভাপতি, রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে বছরের পর বছর ধরে অবৈধ ভাবে নদী থেকে বালু উত্তলোন করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই চক্রের কারণে একপাশে চর, আরেক পাশে গ্রাম—দুই দিকেই নদীভাঙনের ভয়াবহ আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। নদীর গতি পরিবর্তন হয়ে বসতবাড়ি, ফসলি জমি ও জীবিকা হারানোর শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন নদী তীরবর্তী অসংখ্য মানুষ।

স্থানীয়রা জানান, এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি, হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে।

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. মানোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, “বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তবে ঘিওর উপজেলা প্রশাসন এবং উপজেলা ভূমি কমিশনারের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো ভাবে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

এলাকাবাসীর দাবি, প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। নাহলে নদীভাঙ্গন সহ ভয়াবহ পরিবেশগত বিপর্যয়ের মুখে পড়বে পুরো এলাকা।

অত্রএলাকার জনগণ এই বিষয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।

 

Sunday, July 13, 2025

জাহিদ ট্রেডার্স-নির্মিত দুর্বল কাজ, ভেঙে পড়ছে পুকুরের পাড়

জাহিদ ট্রেডার্স-নির্মিত দুর্বল কাজ, ভেঙে পড়ছে পুকুরের পাড়



প্রতিবেদনে বেলাল চৌধুরী:

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের টুটিয়াম পল্লী উন্নয়ন সমিতির আওতাধীন দুটি পুকুর উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পের নিম্নমানের কাজের কারণে ইতোমধ্যেই পুকুরের দুই পাশের মাটি ধসে পড়তে শুরু করেছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ ও রহস্যময় ঠিকাদারি পরিবর্তন

পুটিয়াম পল্লী উন্নয়ন সমিতির আওতায় থাকা পুকুর-১ এর উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে প্রায় ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। এই প্রকল্পের প্রথম চুক্তি হয় এম এস জাহিদ ট্রেডার্স এর সাথে। কিন্তু স্থানীয় সূত্র ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রকল্পের কাজ শুরু না করেই এই প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি নতুন করে বিক্রি করে দেয় বিকে ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারী বিষ্ণু কুমার দাসের কাছে।

স্থানীয়দের প্রশ্ন, “সরকারি প্রকল্প ব্যক্তিগতভাবে ‘বিক্রি’ করেন কি করে? জনগণের টাকায় প্রজেক্ট হয়, আর সেটি কয়েকজন ঠিকাদারের পকেটে চলে যা।” নিয়ম অনুযায়ী, পুকুর খনন কাজ শুষ্ক মৌসুমে সম্পন্ন করার কথা। কিন্তু প্রকল্প বদলি হওয়ার কারণে কাজে মারাত্মক বেঘাত ঘটে। বর্ষা মৌসুমের এক-দুই মাস আগে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়, যখন পুকুরে ইতিমধ্যেই পানি জমতে থাকে। ফলে যথাযথভাবে পুকুর খনন সম্ভব হয়নি।

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, নিম্নমানের খনন কাজ এবং কাঠামোগত কাজের কারণে পুকুরের দুই পাড় ধসে পড়তে শুরু করেছেপুকুর খননের মাটি পাশের রাস্তা তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এতে পুকুরের পাড়গুলো ক্রমশ ধসে পড়ছে।

একজন প্রবীণ স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “পুকুরের পাড়গুলো এভাবে ভেঙে পড়ছে। আমাদের ঘরবাড়ির পাশেই পুকুর। বৃষ্টি হলে এই ভাঙন আরও বাড়বে। যদি কোনো দিন বড় দুর্ঘটনা হয়, এর দায় কে নেবে?”

প্রকল্পের আওতায় পুকুরের ঘাটলা নির্মাণ, দুই পাড় সুরক্ষার জন্য পাইলিং, এবং মাটি সুরক্ষা প্রাচীর নির্মাণের কথা থাকলেও, সেসব কাজও খুবই নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে এবং দায়সারা ভাবে করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন।

এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রথম দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম এস জাহিদ ট্রেডার্স এবং রয়ে ট্রেডার্স-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কোনো বক্তব্য দিতে চাননি। বদলি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিকে ট্রেডার্স-এর স্বত্বাধিকারী বিষ্ণু কুমার দাসের কাছেও জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো সৎ উত্তর দেননি।

স্থানীয়রা দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, প্রকল্পের কাজ এভাবে চলতে থাকলে সরকারি অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি জনজীবন এবং পরিবেশের জন্য বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে।

একজন তরুণ সমাজকর্মী বলেন, “সরকার কোটি কোটি টাকা পুকুর উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেয়। অথচ ঠিকাদার আর কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সেই টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে। পুকুরের পার ধসে পড়ছে, আর আমরা আতঙ্কে আছি। আমরা চাই সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

 

চরের মানুষের দাবি সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চাই চরের অবৈধ বালু উত্তলোনে

চরের মানুষের দাবি সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চাই চরের অবৈধ বালু উত্তলোনে


প্রতিবেদনে বেলাল চৌধুরী:

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার অবহেলিত চরাঞ্চলের মানুষ পড়েছে চরম বিপদের মুখে। ইজারা নেওয়া জায়গা বাদ দিয়ে অন্য চর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তলোন করছে একটি প্রভাবশালী মহল। এতে করে চরের জমিগুলো ধীরে ধীরে ধসে পড়ছে , ঘরবাড়ি হারানোর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন অসহায় চর আঞ্চলের মানুষ

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর উপজেলার রাহাতপুর বালুমহলটি ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকায় ইজারা নিয়েছে মেসার্স প্রিন্স কনস্ট্রাকশন, যার মালিক মো. মোস্তাফিজুর রহমান। অথচ ইজারার নির্ধারিত স্থান বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি দিনের পর দিন অবৈধভাবে বালু তুলছে বাগুটিয়া ও ফকিরপাড়া চরের বিভিন্ন এলাকা থেকে। চরবাসীরা অভিযোগ করেন, সে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয়ে এবং তার সহযোগী মোঃ হারুন (তেওতা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক) এরা দলের পরিচয় দিয়ে অবৈধ বালু উত্তলোন করে যাচ্ছে নদী থেকে । এই অবৈধ বালু উত্তোলন চলে নিরবচ্ছিন্নভাবে। কাটার মেশিনের শব্দে কেঁপে উঠে চারপাশ। নদীর পাড়ে ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

এ বিষয়ে বাগুটিয়া ইউনিয়নের নায়েব বলেন, "প্রিন্স কনস্ট্রাকশন রাহাতপুর বালুমহাল ইজারা নিয়েছে। অন্য চরে বালু তোলা সম্পূর্ণ অবৈধ। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।"

স্থানীয় লোকজন তাদেরকে বাগুটিয়া নদী থেকে বালু উত্তলোন না করার জন্য নিষেধ করলে দু-একদিন বন্ধ রাখেন। পরবতীতে আবার গত ১১ জুলাই (শুক্রবার) আবার ও বাগুটিয়া থেকে বালু উত্তলোন করেছেন। এভাবেই দলের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ বালু উত্তলোন করে যাচ্ছে।

এই বিয়য়ে জানার জন্য গত ১২ জুলাই (শনিবার) দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সথে সাংবাদিকরা মুঠোফনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

তবে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. মো. মানোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন,"বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"

চরের মানুষের দাবি, অবিলম্বে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে। নয়তো চরের অস্তিত্ব, মানুষের বসতভিটা, ফসলের মাঠ সবকিছু হারিয়ে যাবে। চর আঞ্চল মানুষের দাবি, প্রশাসনের কঠোর নজরদারি, সুষ্ঠু বালুমহল ব্যবস্থাপনা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হোক।

চরবাসী আরো দাবি জানান, এই বিষয়টি যেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ দাবী জানান।

এখন সময়, চরবাসীর পাশে দাঁড়ানোর। তাদের চোখের পানি যেন আর নদীর পানিতে মিশে না যায়। বালু খেকোদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে হবে এটাই সময়ের দাবি।

 

দৌলতপুর-বাচামারা জিসি রাস্তার কাজে অনিয়ম

দৌলতপুর-বাচামারা জিসি রাস্তার কাজে অনিয়ম


প্রতিবেদনে বেল্লাল চৌধুরী:

মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক দৌলতপুর-বাচামারা জিসি রাস্তা। এই রাস্তার চেইনেজ ৬৮৫০ মিটার থেকে ৯৩৫০ মিটার পর্যন্ত পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে সরকারি অর্থ। কাজটি সম্পূর্ণভাবে নতুন সিমেন্ট কংক্রিট (সি.সি.) ব্লক দিয়ে নির্মাণের কথা থাকলেও বাস্তবে কাজটি ঘিরে উঠেছে অনিয়ম ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেনঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আই সি এল নিন্মমানের সি.সি. ব্লক বসিয়ে রাস্তা নির্মাণ করছে। এতে করে একদিকে যেমন জনগণের ভোগান্তি বাড়বেঅন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিয়েও।

এক বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেনআগেরবারও নিন্মমানের মানের ব্লক দিয়ে রাস্তা বানানো হয়েছিল। কিছুদিনেই নষ্ট হয়ে যায়। এবারও একই জিনিস হচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেঅথচ কাজ হচ্ছে বাজে মানে।”

আরেকজন জানানযখনই কিছু বলিতারা বলে ঠিকঠাক কাজ করছে। কিন্তু চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে দুই নাম্বার ব্লক ব্যবহার করা হচ্ছে।”

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আই সি এল-এর মালিকের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিষ্ঠানের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রাসেল দাবি করেনআমরা নিয়ম মেনেই কাজ করছি। কোনো অনিয়ম হয়নি। ইউনুছ শেখ ভাই এর কাছে যানউনি সব জানেন।”

এদিকে দৌলতপুর উপজেলা প্রকৌশলী রাইসুল ইসলাম জানানপ্রথমে তারা নিম্নমানের ব্লক বসানোর চেষ্টা করেছিলআমি বাধা দিয়েছি। স্পষ্টভাবে বলেছিনতুন সি.সি. ব্লক ব্যবহার করতে হবে এবং নিম্নমানের ব্লক সরিয়ে ফেলতে হবে।”

উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করলেও এখনও সমাধান মেলেনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিয়ান নুরেনের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসীর দাবিঅবিলম্বে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক এবং সরকারি অর্থ যাতে অপচয় না হয়তা নিশ্চিত করা হোক।

Saturday, July 12, 2025

উলাইল প্রিমিয়াম ফুটবল লিগ-২০২৫ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন গ্রীন বাংলা পাওয়ারটেক

উলাইল প্রিমিয়াম ফুটবল লিগ-২০২৫ ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন গ্রীন বাংলা পাওয়ারটেক



প্রতিবেদনে বেলাল চৌধুরীঃ

দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নের বঙ্গতাজ স্পোর্টিং ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত উলাইল প্রিমিয়াম ফুটবল লিগ-২০২৫ এর ফাইনাল ম্যাচে গ্রীন বাংলা পাওয়ারটেক ২-০ গোলে মেসার্স হারুন এন্টারপ্রাইজকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। শনিবার (১২ জুলাই) বিকেল ৩:৩০টায় বঙ্গতাজ স্পোর্টিং ক্লাবের খেলার মাঠে এই ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের আস্থাভাজন নেতা, বিএনপির সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এবং ঘিওর-দৌলতপুর-শিবালয় উপজেলার একমাত্র ধানের শীষের কান্ডারি জনাব এস. এ. জিন্নাহ কবীর।

খেলা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “মাদককে না করবো খেলার মাঠকে চালু করব আজ ১৫ বছর নিপীড়িত নির্যাতিত হয়েছেন আজ সময় এসেছে আগামী নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকারের মাধ্যমে সুস্থ মতে ধানের শীষে ভোট দিয়ে তথা তারেক রহমানকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সহযোগিতা করবেন এ আশা রাখি আপনাদের কাছে।

ফুটবল আমাদের প্রাণের খেলা। এই খেলার মাধ্যমে যুব সমাজ যেমন সুস্থ থাকে, তেমনি সমাজে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি এবং ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধি পায়। আজকের এই ফাইনাল ম্যাচ অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে। দুই দলই দারুণ খেলা উপহার দিয়েছে। বিজয়ী দলকে অভিনন্দন এবং যারা হারলো, তাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। 

বিজয়ী দলের জন্য প্রথম পুরস্কার হিসেবে ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি এবং রানারআপ দলের জন্য ২১ ইঞ্চি এলইডি টিভির ব্যবস্থা করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন, জেলা কৃষক দলের সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ, জেলা বিএনপির সাবেক প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ফেরদৌস রহমান, ঘিওর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মানিকুজ্জামান মানিক, জেলা কৃষক দলের সহ-সভাপতি মো. আ. খালেক শিকদার, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মো. ফরিদ বিএসসি, কলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি অ্যাড. বুলবুল আহম্মেদ গোলাপ, ঘিওর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শওকত হোসেন, ঘিওর উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক মো. রাজা মিয়া, দৌলতপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মো. আ. সালাম, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফ ইকবাল রনি, সদস্য মোসলেম উদ্দিন এবং কলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের নেতা আলতাফ, কবির ও বাবুল।

উক্ত খোলার আয়োজনে ছিলেন, মোঃ রবিজ্জল হোসাইন, যুগ্ন-আহবায়ক,  জাতীয়তাবাদী যুবদল, দৌলতপুর উপজেলা শাখা।

প্রতিযোগিতা শেষে অতিথিরা বিজয়ী ও রানারআপ দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং খেলোয়াড়দের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করেন।


Thursday, July 3, 2025

তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত হলো শিবালয়ে

তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত হলো শিবালয়ে


প্রতিবেদনে বেলাল মিয়া :

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচারের লক্ষ্যে শিবালয় উপজেলায় এক বিশেষ প্রচারণা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার শিবালয় ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। সভায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত বিশাল ব্যানার টানানো হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, "বর্তমান সরকারের অব্যবস্থাপনা, দুঃশাসন ও গণতন্ত্র হরণে অতিষ্ঠ দেশের মানুষ। তারেক রহমানের ৩১ দফা দেশের জন্য একটি রূপকল্প। এটি বাস্তবায়িত হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং একটি কল্যাণমুখী রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।"আয়োজকরা জানান, এই প্রচারণা সভার মাধ্যমে জনগণের মাঝে তারেক রহমানের রূপরেখা ছড়িয়ে দিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।উল্লেখ্য, রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা কর্মসূচি বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গীকার হিসেবে ইতিমধ্যেই দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি'র সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক জননেতা এস এ জিন্নাহ কবির বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক কাজী মোস্তাক হোসেন দিপু শিবালয় উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি রহমত আলী লাভলু বেপারী  মানিকগঞ্জ জেলা বি এন পির সদস্য মোহাম্মদ লোকমান হোসেন জেলা   কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান ঘিওর  উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি মীর মানিকুজ্জামান মানিক জাতীয়তাবাদী ওলামা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা হাবিবুল্লাহ নোমানী শিবালয় উপজেলা যুবদলের আহবায়ক হোসেন আলী ঘিওর উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ জানে আলম,ঘিওর উপজেলা বিএনপির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক মো. রাজা মিয়া।